রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মুরাদ হোসেন,হাবিপ্রবি দিনাজপুর :
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৯ আগস্ট পদত্যাগ করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান। এরপর একে একে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা সহ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক পদের ৪৮ শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় থমকে আছে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। গত ১৮ আগস্ট থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও শীর্ষ পদগুলোতে শূন্যতা থাকায় স্বাভাবিক হয়নি শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে দ্রুত ভিসি নিয়োগ এখন সময়ের দাবি বলছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা বলেছেন, উপাচার্য নিয়োগ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সঙ্কট অনেকটাই দূর হবে এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ সচল হবে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হতে ইচ্ছুক প্রায় ২০ জন সিনিয়র শিক্ষক আবেদন জমা দিয়েছেন বলে সূত্রমতে জানা গেছে। নিশ্চিত নামের তালিকা পাওয়া না গেলেও শিক্ষার্থীদের আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর মো. কুতুব উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক হাসান, এফইটি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ, কৃষি অনুষদের প্রফেসর ড. এস এম এমদাদুল হাসান প্রমুখ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দাবী, কোনো অরাজনৈতিক শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক যেন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি উচ্চ শিক্ষিত ও গবেষক কোনো শিক্ষক যে নিয়োগ পায়।
কয়েকটি অনুষদের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসনশূণ্য এ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা স্যার, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর কুতুবউদ্দিন স্যার, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রফেসর ড. ফারুক হাসান স্যার সহ অনেকেই। শিক্ষার্থীবান্ধব, অরাজনৈতিক ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষক হিসেবে তাদের মধ্যে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানায়।